প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২:৩২
ফরিদগঞ্জের সর্বত্র ফসলি জমির মাটি কাটার ধুম || অভিযানের পরেও থামছে না

ফরিদগঞ্জ উপজেলার সর্বত্র চলছে ফসলি জমির মাটি কাটার ধুম। প্রশাসনের অভিযানের পরও থামছে না মাটি কাটা।
|আরো খবর
জানা যায়, ফরিদগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাছের ঝিলের নামে ভেকু দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। আর এসব মাটি নিষিদ্ধ ট্রাক্টর দ্বারা ইটভাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রতিদিনই এ উপজেলায় টপ সয়েল কাটা হলেও সেদিকে নজরদারি করছে না স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। উপজেলার দেইচর, কেরোয়া ও বেহারিপুর গ্রামসহ বিভিন্ন স্থান থেকে মাটি কেটে ইটভাটায় নেওয়া হচ্ছে। নিচুস্থান ভরাট করাসহ এসব মাটি বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
একটি সূত্র জানায়, মাটি ক্রেতারা স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ও সাংবাদিক নামধারী কতিপয় ব্যক্তিকে ম্যানেজ করে মাটি কাটছে। যেসব জমির মাটি কাটা হচ্ছে, পাশের জমির ক্ষতি হলেও এরা প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে কেউ মুখ খুলে কথা বলতে সাহস পায় না। এসব মাটি দিনের চেয়ে রাতের বেলায় বেশি কাটা হয়ে থাকে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় ক'জন জানান, ফসলি জমির টপ সয়েল কেটে ইটভাটায় নিয়ে যাওয়া হয়। রাতের বেলা নিষিদ্ধ ট্রাক্টর, পিকআপ ও ট্রলি গাড়িতে করে নেওয়া হয়। গাড়ির বিকট শব্দে ঘুমাতে পারেন না তারা। এরা প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে মাটি কাটছে। তাদের মাটি কাটার কারণে পাশের জমির ক্ষতি হলেও ভয়ে জমির মালিকরা কিছু বলতে সাহস পান না।
এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেটু কুমার বড়ুয়া বলেন, মঙ্গলবারও আমরা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছি। অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ আর এম জাহিদ হাসান বলেন, এ উপজেলা একটি বড়ো উপজেলা। উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বালি কাটা ও মাটি কাটা হয়। এদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযান শুরু করে দিয়েছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, আমরা আজকেও অভিযান করেছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। মাটি ও বালি যারা কাটছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।








